সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম খুব জরুরি। যাদের ঠিকঠাক মতো ঘুমের অভ্যাস রয়েছে তারা একরাত জেগেই দেখুন পরের দিন কাজকর্ম করতে কতটা বেগ পেতে হয়। এখনকার ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে অনেকেই আছেন যারা ঠিকমত ঘুমানোর সময় পান না। আবার অনেকেই আছেন যারা বিছানায় শুয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটিয়ে দেন। এই সব কিছুতে ঘুম যেন জীবন থেকে প্রায় বিদায় নিতে বসেছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন কোনো পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টার কম ঘুমান তবে তার শরীরে নানা রকম রোগে বাসা বাঁধতে পারে। আর সেই রোগ থেকে হয় বিষণ্ণতা। আর এই বিষণ্ণতাই এক সময় পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়া দাওয়া করার দিকে ঠেলে নিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন, বিষণ্ণতায় মানুষ সাধারণত চকোলেট, চিপস বা অন্যান্য ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খেতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হতে থাকে। তাই এই সকল জটিলতা এড়াতে সময়মত পরিমিত পরিমাণে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে।
কম ঘুমানো এবং দীর্ঘ মেয়াদি ঘুম না হওয়া বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেমন- হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, অনিয়মিত হার্টবিট, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ইত্যাদি বাড়ায়। গবেষণায় বলা হয়, যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাদের বেশির ভাগই এসব রোগে ভোগে।
আমাদের দেহের হরমোন লেপটিন জানান দেয় পেট ভরা আছে কি না- এই কথা। কম ঘুমালে এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এতে ক্ষুধা লাগে। এটি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এটি ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।